জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) জানিয়েছে, ২০২৫ সালের ৯ ও ১০ মে মিয়ানমারের উপকূলে দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৪২৭ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হতে পারে। এই ঘটনা যদি নিশ্চিত হয়, তবে এটি রোহিঙ্গাদের জন্য এ বছরের সবচেয়ে বড় নৌকাডুবির ঘটনা হবে। খবর আলজাজিরার
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী:
৯ মে একটি নৌকা ডুবে ২৬৭ জন আরোহীর মধ্যে ৬৬ জন বেঁচে আছেন।
১০ মে আরেকটি নৌকা ডুবে ২৪৭ জনের মধ্যে ২১ জন বেঁচে আছেন।
এই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির বা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসছিলেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, “এই মর্মান্তিক ঘটনা রোহিঙ্গাদের সংকটের তীব্রতা এবং বাংলাদেশে শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তার অভাবের একটি দুঃখজনক স্মারক।”
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের পর থেকে এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ১৮০,০০০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর হুমকি রয়েছে, আর যারা সেখানে রয়ে গেছেন তারা শিবিরে কঠিন পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছেন।
২০২৪ সালে, এই অঞ্চলে ৬৫৭ জন রোহিঙ্গা নৌকাডুবিতে মারা যান বা নিখোঁজ হন, যা ২০১৪ সালের পর সর্বোচ্চ।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) এবং অন্যান্য মানবিক সংস্থাগুলি রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরি সহায়তা বাড়ানোর এবং তাদের নিরাপদে পুনর্বাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আরও সহায়তা চেয়েছে।