ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হচ্ছেন। গাজা ও পশ্চিম তীরে সহিংসতা বৃদ্ধি এবং দুই-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা সংকুচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে ফ্রান্স এই পদক্ষেপ নিতে চায়।
জুনে সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজিত জাতিসংঘ সম্মেলনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রূপরেখা প্রণয়ন এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। যদি মাক্রোঁ এই পদক্ষেপ নেন, তাহলে ফ্রান্স হবে প্রথম পশ্চিমা দেশ যা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে, যা অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন যে, স্বীকৃতি যদি কোনো কার্যকর পদক্ষেপের সঙ্গে না আসে, তাহলে এটি প্রতীকী হয়ে থাকতে পারে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। ইসরায়েল এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র লবিং করছে এবং এর ফলে গোয়েন্দা তথ্যের আদান-প্রদান কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছে। মাক্রোঁর অবস্থান সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে; পূর্বে তিনি ইসরায়েলপন্থী ছিলেন, কিন্তু ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ভাষা আরও সমালোচনামূলক হয়েছে।
কিছু সমালোচক মনে করেন, স্বীকৃতি দেওয়ার আগে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজা উচিত, আবার অন্যরা এটিকে একটি প্রয়োজনীয় কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।