জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, গতানুগতিক নয়, পিআর পদ্ধতিতেই নির্বাচন দিতে হবে বলে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত গণমিছিলের এ কথা বলেন তিনি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত গণমিছিলোত্তর সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মহাখালী কলেরা হাসপাতালের সামনে (মহাখালী রেলগেট) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ বিশাল সমাবেশ ও গণমিছিলের আয়োজন করা হয়।
আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, পিআর পদ্ধতি ছাড়া বাংলাদেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। যারা পিআর চায় না, তারা জনপ্রিয়তা নয় বরং চাঁদাবাজির অর্থ ও সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করতে চায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আর দেশে ফিরতে পারবে না। কেউ আবার ফ্যাসিস্ট হতে চাইলে দেশের মানুষ তাদেরও প্রতিহত করবে। স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের উপর যেকোনো ধরনের হুমকি জামায়াত প্রতিহত করবে বলে জানান তিনি।
ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতে ইসলামীর আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘তারা বলেন, আমরা ওয়াদা করছি, ক্ষমতায় গেলে আমরা করবো। ঈমান কী তাদের এতোই মজবুত যে, তারা মনে হয় কখনোই ওয়াদা ভঙ্গ করেন না! তারাও তো ক্ষমতায় ছিলেন। ওয়াদা কি রেখেছিলেন?’
স্পষ্ট করে বলছি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামী কখনো আপস করবে না। বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, টেকসই গণতন্ত্রের জন্য জামায়াত লড়াই করে যাবে উল্লেখ করে তাহের বলেন, বিগত দিনগুলোতে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। ১৯৭৩ সালের নির্বাচন থেকে শুরু করে শেখ হাসিনার সর্বশেষ নির্বাচন। কেন্দ্র দখল, টাকার খেলা, বিরোধী দলকে কেন্দ্রে আসতে বাধা, দিনের ভোট রাতে, ভোটারবিহীন নির্বাচনে অনেক ভোট কাস্ট দেখিয়ে ভুয়া নির্বাচনের রায় ঘোষণা আমরা দেখেছি। গত ৫৪ বছরের ট্রাডিশনাল নির্বাচনের যে অভিজ্ঞতা, তা জনগণের অধিকার নিশ্চিত করছে না। তাই নতুনভাবে নতুন ধরনের নির্বাচন পদ্ধতি চালু করতে হবে, যা অনেক দেশে আছে। প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনে (পিআর) কেন্দ্র দখল, টাকার খেলার সুযোগ নেই, এই পদ্ধতিতে ভোটের অধিকার কাউন্ট করা হবে। ৫১ শতাংশ পেলে জয়ী, আর ৪৯ শতাংশ ভোটারের ভোট পেয়ে হেরে যাওয়া। এতে করে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় না।