রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা প্রশাসক সাবেত আলীর হাতে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।
অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, খাদ্য-শিক্ষা ও দেশের সার্বিক কল্যাণে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। হাসপাতাল চালুর জন্য জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়। আমাদের এই অনুদান দলের প্রচারের জন্য নয়, এটি মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আমাদের গর্বের প্রিয় দেশ। এই দেশ গড়ার জন্য দল-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। চিকিৎসা, শিক্ষা ও দেশের সার্বভৌমত্বের মতো বিষয়গুলোতে দল বা ধর্মের পরিচয়ে নয়, নাগরিক হিসেবে দায়িত্ববোধ থেকেই কাজ করতে হবে। আমরা শ্রেষ্ঠ জাতি আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন ভালো কাজ করার জন্য, তাই সকল মানুষের কল্যাণে কাজ করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব।
অনুষ্ঠান শেষে মাওলানা আব্দুল হালিম দলীয় নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতাল ভবন পরিদর্শন করেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না হলে তার কোনো মূল্য থাকবে না। আমরা চাই নির্বাচনের আগে গণভোট হোক। গণভোট ও নির্বাচন দুটোই হতে হবে, একটিকে বাদ দেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের বিরোধ নেই। যে যার মতো রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ করবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা আটটি দল মিলে গণভোটসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে একত্রে আন্দোলন করছি।
অনুদান প্রদান ও আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান, পঞ্চগড় জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইকবাল হোসাইন, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন, গণঅধিকার পরিষদের জেলা আহ্বায়ক মাহফুজার রহমান, জাগপার জেলা সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আলম বিপ্লব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি আব্দুল হাই, খেলাফত মজলিসের সভাপতি হাফেজ মীর মোর্শেদ তুহিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী প্রমুখ।