১১ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার দাবিতে বরিশালে কমিশনার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ

স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার দাবিতে বরিশালে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর কাশিপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে কমিশনার কার্যালয়ের গেটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

পরে বিভাগীয় কমিশনারের একজন প্রতিনিধি আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি হিসেবে পাঁচজনকে নিয়ে ভিতরে যান।

কিন্তু বিভাগীয় কমিশনার তার কার্যালয়ে না থাকায় আলোচনা ছাড়াই ফিরে এসে গেটে দেড়টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করে কর্মসূচি শেষ করে তারা। এ সময় ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল।

আন্দোলনের প্রধান সংগঠক মহিউদ্দিন রনি বলেন, আমরা কয়েক দিন আগে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে দাবিগুলো লিখে স্মারকলিপি জমা দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। সেই দাবি আদায়ে সরকার কতটুকু ভেবেছে তা জানতে আমরা এখানে এসেছি। আমাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের ট্রলি, অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। শতাধিক অচল মেশিন সচল হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে সাপের অ্যান্টিভেনম দিয়েছে। এসব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

মহিউদ্দিন রনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্য খাতের সংকট সমাধানে স্থায়ী পরিবর্তন চাচ্ছি। আমরা আন্দোলন থামিয়ে দিলে সিন্ডিকেট আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে? এসব সমস্যা শুধু শেবাচিম হাসপাতালেই না, সারা দেশের সব হাসপাতালের। এসব সংকট দূর করেন। কত দিনের মধ্যে কী কী সমস্যা দূর করবেন সেই বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্যাডে লিখিত আশ্বাস এবং রোডম্যাপ দিতে হবে।

তিনি বলেন, বিভাগীয় কমিশনারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। সেই ফল কতটুকু তা জানতে এসেছি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে বিভাগীয় কমিশনার বিষয়টি লিখিত পাঠাবেন কিনা তা জানতে এসেছি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা যদি বরিশাল না আসেন তাহলে দেশের জনগণকে নিয়ে মাসের পর মাস সংগ্রাম চালিয়ে যাব।

রনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হয়তো বরিশাল আসতে ভয় পাচ্ছেন। যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায়। আমরা বরিশালবাসী আশ্বস্ত করছি, আমরা কারো ক্ষতি চাই না। আমরা স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট ভাঙতে রাষ্ট্রের সহযোগিতা চাই। বিভিন্ন গণমাধ্যম দ্বারা জানতে পেরেছি, স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক বলেছেন- তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে, তাহলে লিখিত প্রমাণপত্র কই? তিনি বরিশাল এসে তার পছন্দমতো কিছু এজেন্ট ভাড়া করে নিয়ে যদি বলে জনগণের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের দাবি বাস্তবায়ন করেছে, এটা জোচ্চুরি।

বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম বলেন, আন্দোলনকারীরা চলে গেছে। ঘটনাস্থলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

বরিশাল

 

সর্বশেষ