লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিপন আহমদ (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় দাফন না করে এলাকাবাসী লাশ নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
জানা গেছে, রামগঞ্জ পৌরসভার কাজিরখিল ওয়ার্ডের বালুয়া চৌমুহনী বাজার সংলগ্ন প্রবাসী আলমের বাড়িতে ২০ আগস্ট কাজ করার সময় ছাদের ওপর দিয়ে যাওয়া ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ট হয়ে শিপন মারাত্মক আহত হয়। প্রথমে তাকে রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়। ২৩ আগস্ট রাতে বিএনকে হাসপাতালে তিনি মারা যান।
নিহত শিপন পৌরসভার জগতপুর গ্রামের আহমদ আলী ব্যাপারী বাড়ির মৃত মনতাজ আহমদের ছেলে। রোববার নিহতের লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে এলাকাবাসী ও আত্মীয়স্বজন লাশ দাফন না করে প্রবাসী আলমের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। নিহত শিপন এক সন্তানের জনক। এখন তার স্ত্রী মিতু আক্তার অন্তঃসত্ত্বা।
এলাকাবাসী জানান, শিপন বালুয়া চৌমুহনী বাজারে আলমের মালিকানাধীন একটি দোকান ভাড়া নিয়ে এসএস (স্টেশনারি) ব্যবসা করতেন। সম্প্রতি দোকান মালিক আলম ও তার স্ত্রী লিপি তাকে দোকান ছাড়ার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক বাড়ির ছাদে কাজ করতে বাধ্য করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাদের যেখানে কাজ করানো হচ্ছিল, তার ঠিক এক হাত উপরে ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইন ছিল। এ অবস্থায় শিপনকে সেখানে কাজ করতে বাধ্য করা হয় ।
শিপনের স্ত্রী মিতু আক্তার বলেন, “আমার স্বামীকে জোর করে কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। আমার ছোট একটি সন্তান আছে। আমি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমি এখন কী করবো?
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল বারী বলেন, “ঘটনাটি অবগত হয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।