২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

রাসূল (সা.) এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য

রাসূল ﷺ এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল অনন্য ও পরিপূর্ণ। তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য সর্বোত্তম আদর্শ ছিলেন। কুরআন ও হাদিসে তাঁর চরিত্র সম্পর্কে বহু বর্ণনা পাওয়া যায়। সংক্ষেপে কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো—
1. সত্যবাদিতা (সিদক) – রাসূল ﷺ সর্বদা সত্য বলতেন। মক্কাবাসী তাঁকে আল-আমীন (বিশ্বাসযোগ্য) ও আস-সাদিক (সত্যবাদী) বলে ডাকত।
2. বিশ্বাসযোগ্যতা (আমানতদারী) – কারো মাল বা আমানত কখনোই তিনি ক্ষুণ্ন করেননি। শত্রুরাও তাঁর কাছে জিনিসপত্র নিরাপদ মনে করে জমা রাখত।
3. উত্তম আচরণ (হুসনে আখলাক) – তিনি মানুষের সাথে সদাচরণ, কোমলতা ও হাসিমুখে কথা বলতেন।
4. ধৈর্য ও ক্ষমাশীলতা – যারা তাঁকে কষ্ট দিত, তিনি তাদের ক্ষমা করে দিতেন। উদাহরণস্বরূপ, তায়েফবাসী তাঁকে পাথর ছুঁড়ে আহত করলে তিনি তাদের জন্য দোয়া করেছিলেন।
5. ন্যায়পরায়ণতা – তিনি বিচারকার্যে কারো সাথে পক্ষপাতিত্ব করতেন না। ধনী-গরিব, আত্মীয়-অনাত্মীয় সবার জন্য ছিল সমান বিচার।
6. করুণা ও দয়া – রাসূল ﷺ অনাথ, দরিদ্র, নারী ও শিশুদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু ছিলেন। পশুপাখির প্রতিও তিনি দয়া প্রদর্শন করতেন।
7. সাহসিকতা – তিনি যুদ্ধে কখনো পিছপা হননি, সবসময় অগ্রভাগে থেকে উম্মাহকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
8. সাদাসিধা জীবনযাপন – তিনি বিলাসিতা পছন্দ করতেন না; সাধারণ খাবার খেতেন, সাধারণ পোশাক পরতেন এবং মাটিতে বসেই আহার করতেন।
9. পরিবারের প্রতি ভালোবাসা – স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয়দের প্রতি তিনি স্নেহশীল ও দায়িত্বশীল ছিলেন।
10. ইবাদতে মনোযোগী – তিনি সারারাত ইবাদত করতেন, কুরআন তিলাওয়াত করতেন এবং আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করতেন।

➡️ কুরআনে আল্লাহ বলেছেন:
“নিশ্চয়ই তুমি মহৎ চরিত্রের অধিকারী।” (সূরা কলম, আয়াত ৪)

সর্বশেষ