জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ডিসেম্বরেই শুরু হচ্ছে বিপিএলের এবারের আসর। নির্দিষ্ট এই সময়ের মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্ত হবে কি না তা নিয়েও ধোঁয়াশা ছিল। তবে সবকিছু বাছাইয়ের পর আসন্ন বিপিএলের জন্য ৫ দল চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গভর্নিং কাউন্সিল।
আগের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছে রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ক্যাপিটালস। এর বাইরে ট্রায়াঙ্গেল সার্ভিসেস পেয়েছে চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজি। নাবিল গ্রুপ দায়িত্ব পাচ্ছে রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজির। সিলেটের ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা পেয়েছে ক্রিকেট উইথ সামি।
১৯ ডিসেম্বর বিপিএল শুরুর সময়ে অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টি ও এসএ টোয়েন্টি। ফলে পর্যাপ্ত বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। দল কমে যাওয়ায় দেশি ক্রিকেটারদের সুযোগও কমতে যাচ্ছে। এই ভাবনায় ৪ বিদেশির জায়গায় প্রতিটি দলে দেখা যেতে পারে তিন বিদেশিও। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
তিন বিদেশির নিয়ম চালু হতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ফাহিম বলেন, ‘অনেক কিছুই হতে পারে। যাতে আমাদের এবং খেলোয়াড়দের স্বার্থ রক্ষিত হয়। আমাদের চেষ্টা থাকবে যেভাবেই হোক না কেন… সাধারণত পাঁচটা দলে যতজন ঘরোয়া ক্রিকেটার থাকে সেই সংখ্যাটা কোনো শর্ত দিয়ে বাড়ানো যায় কি না। তাতে আমাদের খেলোয়াড়দের স্বার্থটা রক্ষিত হবে। কিন্তু তারপরও আমি বলব ৭টা বা ৮টা দল না থাকার কারণে অনেকেই আছে যাদের যোগ্যতা থাকার পরও তারা হয়তো জায়গা পাবে না। এটা খুব দুঃখজনক হবে।’
পুরো আসরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে আসতে পারবেন। এমনটাই জানিয়েছেন বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের আরেক সদস্য ইফতেখার রহমান মিঠু, ‘হ্যাঁ, এটা থাকবে। কারণ সবাই চায় টুর্নামেন্টটা যাতে জমজমাট হয়, আমরাও চাই জমজমাট হবে। এখন জিনিসটা হচ্ছে একই সময়ে তিনটা লিগ চলছে, কিন্তু এটা আপনাদের বুঝতে হবে। বিশেষ করে আইএল টি-টোয়েন্টিতে সব বিদেশি খেলোয়াড়। সুতরাং এটা (নির্দিষ্ট ম্যাচের জন্য ইচ্ছে মতো বিদেশি আনা) আমরা খোলা রাখছি। এবার আমরা বিদেশি রেজিস্ট্রেশন কোনো ক্যাপ (নির্দিষ্ট) করে দিইনি। দুটি ম্যাচ একজন গ্রেট খেলোয়াড় এসে খেললো, ওইটাই তো আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।’