ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, তবে সে ক্ষেত্রে দুটি শর্ত পূরণের দাবি জানিয়েছে: (১) সব নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং (২) শান্তিপূর্ণ পরমাণু কার্যক্রম চালানোর অধিকার স্বীকৃতি। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, “আমরা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, তবে চাপের মুখে নয়।” তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, “যতদিন পর্যন্ত মার্কিন প্রশাসন ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি অব্যাহত রাখবে, ততদিন সরাসরি আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।” খবর আলজাজিরার
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের একপাক্ষিক প্রত্যাহারের পর নতুন করে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যখন জানি তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে না, তখন আলোচনার কী মানে থাকে?”
ইরান আরও জানিয়েছে যে, তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখতে প্রস্তুত, তবে সে ক্ষেত্রে তাদের পরমাণু অধিকার স্বীকৃতি ও আটকে রাখা অর্থ ছাড়ের দাবি রয়েছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র এখনও এই প্রস্তাবের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি।
চীন ও রাশিয়া ইরানের পরমাণু অধিকার স্বীকৃতি ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। চীন বলেছে, “আইনবহির্ভূত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা উচিত এবং রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে বিরোধ সমাধান করা উচিত।”
সর্বশেষ, ইরান জানিয়েছে যে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় আগ্রহী, তবে সরাসরি আলোচনায় বসতে হলে মার্কিন প্রশাসনের নীতি পরিবর্তন প্রয়োজন।
এই পরিস্থিতিতে, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরমাণু আলোচনার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে পারস্পরিক আস্থা, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং পরমাণু অধিকার স্বীকৃতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সমাধানের ওপর।