বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম জোনের পরিচালক লস্কর মুহাম্মদ তসলিম বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। আমদানি রপ্তানির অন্যতম একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের উন্নতি সমৃদ্ধির অন্যতম কারিগর হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তা। ৩৬ জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে পূর্বের ফ্যাসিস্ট সরকারের বন্দরের স্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে একটি পক্ষ আঁটঘাট বেঁধে কাজ করছে। এ পক্ষটি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জনমতের তোয়াক্কা না করে এবং জাতির সামনে সঠিক তথ্য উপস্থাপন না করে কোন টেন্ডার ছাড়াই একটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দিতে চায়। যা দেশ জাতি, জাতীয় নিরাপত্তা ও চট্টগ্রাম বন্দরের স্বার্থ পরিপন্থী।
তিনি আজ বিকাল ৩.৩০টায় নগর কার্যালয়ে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরীর কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরিউক্ত কথা বলেন। কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় অন্যান্য কার্যনির্বাহী সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করা শ্রমিকদের অধিকার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদেরকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।
আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসর লুটপাটের অংশীদের সিবিএ নেতৃবৃন্দ পালিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত সিবিএ নির্বাচনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। যা শ্রমিকদের সাথে চালাকিই বটে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বন্দরকে কোন টেন্ডার ছাড়াই বিদেশীদের হাতে তুলে দিতে বন্দর এলাকায় সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে নিষিদ্ধ আদেশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।
সভায় চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশীদের কাছে ইজারা দেওয়া ও ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে আগামী ৮ নভেম্বর সকাল ১০ টায় প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।