১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

নিম্নমানের তুলা ও ঝুট দিয়ে তৈরি নকল স্যানিটারি প্যাড!

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কিংবা বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নিম্নমানের স্যানিটারি ন্যাপকিন প্যাড তৈরি করে বাজারজাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার নামে প্রতারক চক্রটি অবৈধ কারখানায় প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করছে নকল ‘রোজ’ নামে প্যাড।

‎স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রায়পুর-হায়দরগন্জ সড়কের পৌরসভার খাজুরতলা এলাকায় শাহজাহান নামের সার ব্যাবসায়ীর ভবনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গড়ে ওঠা ওই কারখানায় স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি করে তা বাজারজাত করা হচ্ছে। নারীদের জরায়ু মুখে ক্যানসার হওয়ার মত ভয়ংকর ক্ষতিকারক উপাদান দিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্যাড তৈরি করছে।

এই নকল প্যাড তৈরির কারখানা পরিচালনা করছেন রায়পুর শহরের মেঘনা হাসপাতালের পরিচালক মোশাররফ হোসেন। নারী ও শিশু শ্রমিক দিয়ে ‘রোজ কোম্পানি’র নামে অনুমোদনহীন এই কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমানের তুলা, অস্বাস্থ্যকর ঝুট ও ছেঁড়া কাপড় দিয়ে ন্যাপকিন প্যাড তৈরি করে সেগুলো বাজারজাত করছে।

‎কারখানার একাধিক শ্রমিক জানান, ‘আমরা কমিশন ভিত্তিতে কাজ করি। একশ পিস প্যাড তৈরি করলে ২০–৪০ টাকা মজুরি পাই। কারখানার বৈধ কাগজপত্র আছে কি না জানি না।’ ‘আপনারা মালিকের সাথে কথা বলেন।’

রায়পুর সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, অনুমোদন ও মানহীন এসব স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারে নারীদের বিভিন্ন সংক্রামক রোগসহ জরায়ু ক্যানসারের আশঙ্কা রয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, বিএসটিআই কিংবা স্বাস্থ্য অধিপ্তরের অনুমোদন ছাড়ায় নোংরা ও অস্বাস্থকর পরিবেশে মেয়েদের স্যানিটারি প্যাড তৈরির সুযোগ নেই। সহসায় অভিযান চালানো হবে। 

অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স আছে। কারখানার সব বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। মোবাইলে কথা বলব না, সরাসরি হাসপাতালে এসে দেখা করুন, সব কিছু জানিয়ে দেব।’

‎রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান কাউছার বলেন, ‘নকল স্যানিটারি প্যাড তৈরির বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ সত্য প্রমাণ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ