বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচন ঘিরে টানা দুদিন উত্তেজনার পর শুক্রবার মিরপুর স্টেডিয়াম ছিল অনেকটাই নীরব। নির্বাচন কমিশন বুধবার আপত্তি গ্রহণ করে, বৃহস্পতিবার হয় আপত্তির ওপর শুনানি।
কাল চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। কাউকে হতাশ করা হয়নি। আপিল করে কাউন্সিলরশিপ ফিরে পেয়েছে বিতর্কিত ১৫ ক্লাব।
প্রশ্ন থাকলেও শেষ পর্যন্ত টিকে গেছে সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের কাউন্সিলরশিপও। বাদ যাওয়া ছয় জেলার মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় নেই শুধু নরসিংদী জেলা। বাকি পাঁচ জেলা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
৬ অক্টোবর বিসিবির নির্বাচন। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন মোট ১৯২ জন। আজ মনোনয়নপত্র বিতরণ ও আগামীকাল মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন।
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ হোসেইন বলেছিলেন, ‘অপেক্ষা করুন, ভালো কিছু দেখতে পাবেন।’
তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কারোর বাদ না পড়ার। খসড়া ভোটার তালিকায় ছিল না ছয়টি জেলা ও ১৫টি ক্লাবের কোনো প্রতিনিধি।
দুর্নীতির অভিযোগে যে ১৮টি ক্লাবের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে দুদকের, সেগুলোর মধ্যে আছে ওই ১৫ ক্লাব। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের সুপারিশ করেছিল দুদক।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এবং তদন্ত চলমান থাকায় ক্লাবগুলোকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি।