২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

চন্দনাইশে বিস্ফোরণ: চলে গেলেন গুদামের মালিক মাহবুবও

বৈলতলী ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার সকালে সিলিন্ডার ‘লোড-আনলোডের’ সময় বিস্ফোরণ ঘটে; দগ্ধ হন গুদামের মালিকসহ ১০ জন।

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে সিলিন্ডারের গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।

চার দিন আগের এ ঘটনায় এ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হলো।

ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান বলেন, “মাহবুবুর রহমান নামে একজন রোববার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে মারা গেছেন।

“৪৫ বছর বয়সী মাহবুবুর রহমান ৫০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।”

চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের মাহবুবুর রহমানের মালিকানাধীন গ্যাস সিলিন্ডারের গোডাউনে বৃহস্পতিবার সকালে সিলিন্ডার ‘লোড-আনলোডের’ সময় বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে গোডাউন মালিকসহ ১০ জন দগ্ধ হন।

দগ্ধদের মধ্যে চারজনকে ঢাকার বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়। তারা হলেন মাহবুবুর, ইউসুফ, ইদ্রিস ও রিয়াজ।

এদের মধ্যে শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ইউসুফ এবং পরের দিন সকালে ইদ্রিসের মৃত্যু হয়।

৩২ বছর বয়সী ইউসুফের শরীরের ৫৭ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ২৭ বছর বয়সী ইদ্রিসের দগ্ধ হয় ৬০ শতাংশ।

দগ্ধ বাকি ছয়জনকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে নেওয়া হয়। তাদের কেউই ‘শঙ্কামুক্ত নন’ বলে এর আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক এস খালেদ।

তিনি বলেছিলেন, “বিস্ফোরণের ঘটনায় তাদের সবারই শ্বাসনালীর ক্ষতি হয়েছে।”

পরে শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই ছয়জনকেও ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়।

তাদের মধ্যে আকিবের (১২) ৩৩ শতাংশ, সৌরভের (২৫) ১৬ শতাংশ, কফিল উদ্দিনের (২৫) ৪৫ শতাংশ, হারুনের (২০) ৫০ শতাংশ, সালেহর (৩৩) ৩৫ শতাংশ এবং লিটনের (৩০) ২০ শতাংশ পুড়েছে বলে বার্ন ইউনিটের চিকিৎসরা জানিয়েছেন।

সর্বশেষ