বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ যদি মারা যান তাহলে তার পরিবার সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা, কেউ যদি সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব বরণ করে এবং তার যদি ভালো হবার সুযোগ না থাকে সে ৩ লক্ষ টাকা এবং কেউ যদি সড়ক দুর্ঘটনা আহত হয় এবং সুস্থ হবার সম্ভাবনা থাকে তাকে এই ট্রাস্টি বোর্ড থেকে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। আজকে যারা এই টাকাটা পাবেন এটা তাদের জন্য অনুগ্রহ নয়। এটা আপনাদের অধিকার। আমরা আপনাদের অধিকার দেওয়ার জন্য বসে আছি।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত ব্যক্তিদের তিন পরিবারকে বিআরটিএ ট্রাস্টি বোর্ড থেকে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওই দিন সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ রাজবাড়ী সার্কেলের আয়োজনে চেক বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অনেক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সরকারের এই আর্থিক সহায়তার সুযোগ সম্পর্কে জানেন না। তাই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো জরুরি। দুর্ঘটনা হ্রাসে সরকার ইতোমধ্যে নানান পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব পদক্ষেপ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হলে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে।
জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তারের সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিআরটিএ’র ঢাকা বিভাগের পরিচালক শফিকুজ্জামান ভুঁইয়া, রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উছেন মে, এনডিসি সাদ আহমেদ, সহকারী কমিশনার আবু বক্কর সিদ্দিক, বিআরটিএ রাজবাড়ী সার্কেলের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, মোটরযান পরিদর্শক শেখ ওয়াহিদ, মোটরযান পরিদর্শক লিটন কুমার দত্ত, রাজবাড়ী সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সহ-সভাপতি মুরাদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার ভৌমিক, সহ সাধারণ সম্পাদক রইচ উদ্দিন বাবু সহ বিআরটিএর কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ছাড়াও স্থানীয় বাস মালিক সমিতির নেতার ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, আজকে রাজবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহতের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে মোট ১০ লক্ষ টাকার চেল ও ১ জন আহতের পরিবারকে ১ লক্ষ টাকার চেক বিআরটিএ ট্রাস্টি বোর্ড থেকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হলো। এই টাকাটা যারা পাচ্ছেন এটা অনুদান না৷ এটা তাদের অধিকার।
এ সময় রাজবাড়ী জেলার নিহত ২ জন ও আহত ১ ভুক্তভোগী পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর করা হয়। নিহত পরিবারকে ৫ লাখ টাকা এবং আহতদের ১ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।