সম্মেলনে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির অভিযোগ করেন, চাকসু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে ‘কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতা’ তারা পাননি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রদল।
এ নির্বাচনে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী করা হয়েছে চবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়কে। তার সঙ্গে জিএস প্রার্থী হয়েছেন স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শাফায়াত হোসেন। আর ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক এ প্যানেলের এজিএস পদপ্রার্থী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় বুদ্ধিজীবী চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে প্যানেল ঘোষণা করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন।
অন্যান্য পদের প্রার্থীরা
খেলাধুলা ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক: আজহারুল ইসলাম বিপ্লব
সহ খেলাধুলা ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক: জয় বড়ুয়া
সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক: মো. মোজাম্মেল হক হৃদয়
সহ-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক: শহীদুল কায়সার
দপ্তর সম্পাদক: তৌহিদুল ইসলাম ভূইয়া
সহ-দপ্তর সম্পাদক: শাহরিয়ার উল্লাহ ফাহাদ
ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক: নুজহাত জাহান
সহ ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক: শাফকাত শফিক
বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক: মো. ওজায়ের হোসেন
গবেষণা ও উন্নয়ন সম্পাদক: ফাইরুজ সাদাফ দ্বীপ
সমাজসেবা ও পরিবেশ সম্পাদক ইমাম হাসান
স্বাস্থ্য সম্পাদক: মোহাম্মদ আবরার গালিব
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক: শাহরিয়ার লিমন
ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক: শ্রুতিরাজ চৌধুরী
যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক: মো. সায়েম উদ্দিন আহমেদ
সহ যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক: ইয়াসিন আরাফাত
আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক: আব্দুল্লাহ আল সাকিব
পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক: মো. জাবেদ
সদস্য পদে ছয়জন হলেন: ফয়সাল প্রান্ত বাবর, মিজান মিয়া, নুসরাত জাহান, এস এম তরিকুল ইসলাম রিমন ও তায়েফ হোসেন ইমন
আগামী ১২ অক্টোবর চাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
বুধবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন পর্যন্ত চাকসু ২৬টি পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৫২৮ জন। আর ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের ২০৬টি পদে মনোনয়ন নিয়েছেন ৬৩৪ জন।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির অভিযোগ করেন, চাকসু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে ‘কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতা’ তারা পাননি।
“এখানে প্রশাসনকে রমভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে এবং তারা একটি নির্দিষ্ট সংগঠনের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে।”
নাছিরের ভাষ্য, ডাকসু ও জাকসু ‘অনিয়ম ও পক্ষপাতমূলক’ আচরণের পরও তারা সব ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।