২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

মুমিনের জীবন পরিচালনা কেমন হওয়া উচিত?

মুমিনদের জীবন পরিচালনা কেমন হওয়া উচিত তা আল্লাহ ﷻ কুরআনুল কারীম এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাদীসে সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। একজন প্রকৃত মুমিনের জীবন চলার মূল ভিত্তি হলো আকীদা (বিশ্বাস), ইবাদত (উপাসনা), আখলাক (চরিত্র) ও মু’আমলাত (লেনদেন/আচরণ)। সংক্ষেপে কয়েকটি দিক তুলে ধরা হলোঃ

১. আকীদা ও ঈমানের দৃঢ়তা

আল্লাহকে একমাত্র রব, ইলাহ ও মাবুদ হিসেবে বিশ্বাস করা।

কুরআন ও সুন্নাহর প্রতি পূর্ণ আনুগত্য রাখা।

তাকদীরের প্রতি আস্থা রাখা।

২. ইবাদতের প্রতি যত্নশীলতা

ফরয সালাত সময়মতো আদায় করা।

রমজানের রোজা রাখা, যাকাত প্রদান, সামর্থ্য হলে হজ পালন করা।

দোআ ও যিকিরে মুখর থাকা।

৩. আখলাক ও চরিত্র গঠন

সত্যবাদী হওয়া।

বিনয়ী ও নম্র থাকা।

ধৈর্যশীল ও কৃতজ্ঞ হওয়া।

গীবত, মিথ্যা, অহংকার ও হিংসা থেকে বেঁচে থাকা।

৪. মানুষের সাথে সুন্দর ব্যবহার

পিতা-মাতা ও পরিবারকে সম্মান করা।

প্রতিবেশীর হক আদায় করা।

দরিদ্র, এতিম ও অসহায়দের সাহায্য করা।

প্রতারণা, সুদ, অন্যায় লেনদেন থেকে বিরত থাকা।

৫. সামাজিক ও দায়িত্বপূর্ণ জীবনযাপন

নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করা (পরিবার, সমাজ, কাজের জায়গায়)।

দেশ ও সমাজের কল্যাণে অবদান রাখা।

অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসের সাথে দাঁড়ানো।

৬. আখেরাতের প্রস্তুতি

দুনিয়াকে মূল লক্ষ্য না বানিয়ে আখেরাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া।

প্রতিটি কাজের হিসাব আল্লাহর কাছে দিতে হবে—এমন সচেতনতা রাখা।

📖 আল্লাহ বলেন:
“নিশ্চয়ই সফলকাম হলো মুমিনগণ, যারা নিজেদের সালাতে বিনয়াবনত থাকে, যারা অনর্থক কাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, যারা যাকাত প্রদান করে, যারা নিজেদের লজ্জাস্থান হেফাজত করে…”
(সূরা মুমিনুন: ১-৫)

👉 অর্থাৎ মুমিনদের জীবন হবে ইবাদতমুখী, আখলাকপূর্ণ, দায়িত্বশীল ও আল্লাহর ভয়ে পরিপূর্ণ।

সর্বশেষ