৪ঠা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

কমলাপুরে উপচে পড়া ভিড়, মাইকিং করেও মাস্ক পরানো যাচ্ছে না

ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ছুটি আজ শেষ হচ্ছে। আগামীকাল রোববার (১৫ জুন) থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতে পুরোদমে কর্মদিবস শুরু হবে। এ প্রেক্ষাপটে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন লাখো কর্মজীবী মানুষ।

গতকাল রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঢাকামুখী ট্রেনগুলোতে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনগুলো যখন রাজধানীর বিভিন্ন রেলস্টেশনে পৌঁছায়, তখন দৃশ্যটা যেন জনস্রোতের মতো—প্রতিটি ট্রেন যেন বহন করছে হাজার হাজার যাত্রীকে।

শনিবার (১৪ জুন) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এসে থামে আন্তঃনগর ‘একতা এক্সপ্রেস।’ ট্রেনটি শুক্রবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে দেশের উত্তরের প্রান্ত পঞ্চগড় থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।

ট্রেনটি ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মের থামার সময় দেখা যায়, ট্রেনের ইঞ্জিনের দুই পাশের রেলিং ধরেও বসে আছে মানুষ। যাত্রী আছে ট্রেনের ছাদেও।
এদিকে গতকাল রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছিল, বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেনটি যখন থামে তখন প্রচুর বিনা টিকিটের মানুষ ট্রেনে উঠেছিল। অতিরিক্ত এসব মানুষের চাপে আসনধারী যাত্রীরা ঠিকভাবে উঠতে পারেননি ট্রেনে বসতে পারেননি দীর্ঘ সময় নিজ আসনে।

ওই ট্রেনের এক যাত্রী গ্রামের কাগজকে বলেন, আমি দিনাজপুর থেকে ট্রেনে উঠেছিলাম। ট্রেনে ওঠার সময় থেকেই অনেক মানুষের ভিড় ছিল। ট্রেনের ছাদেও মানুষ। পরবর্তী স্টেশন থেকে যাত্রীরা ট্রেনে উঠতে অনেক চিল্লাচিল্লি করেছেন। অনেকে হয়তো উঠতেও পারেননি।

আরেক যাত্রী তামজিদ বলেন, পীরগঞ্জ স্টেশনে কোচের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বিনা টিকিটের যাত্রীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে। আসলে সবাই ট্রেনে ঢাকায় আসতে চায় কিন্তু, একটা ট্রেনে আর কতই জায়গা হবে।

স্টেশন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকে যেসব ট্রেন ঢাকায় এসেছে প্রত্যেকটা ট্রেনেই ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী সংখ্যা ছিল। আজ দিনব্যাপী ঢাকায় আসা প্রত্যেকটা ট্রেনেই এমন ভিড় হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।

সর্বশেষ