বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পাহাড়ে হঠাৎ করে অশান্তির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এসব বিষয় মানুষকে নানাভাবে ভাবিয়ে তুলছে এবং উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার জন্ম দিচ্ছে। এই সময়েই গার্মেন্টস সেক্টরেও অশান্তির চিহ্ন স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। তিনি মনে করেন, এসব কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে কোনো না কোনো চক্র জড়িত রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এমন শঙ্কা প্রকাশ করেন।
রিজভী বলেন, ‘সেজন্য আমাদের প্রত্যেককেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশবিরোধী যদি কোনো চক্রান্ত বা মাস্টারপ্ল্যান থেকে থাকে, কোনো অশুভ পরিকল্পনা থেকে থাকে, তাহলে আমাদের সবাইকে তা ব্যর্থ করতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে হবে।’
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার সপ্তমী প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘এই উৎসব অত্যন্ত আনন্দ, উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে। এই উৎসবকে ঘিরে যেমন নানা ধরনের অপতৎপরতা রয়েছে, তেমনি আমরা চাই- উৎসবটি যেন কোনো ধরনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। এজন্য আমরা সবাই সতর্ক আছি।’
তিনি জানান, প্রায় ৩৫ হাজার পূজামণ্ডপে বিএনপির নেতাকর্মীরা নজরদারি করছে এবং নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিদিন নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছেন এবং পূজা নির্বিঘ্নে পালনের বিষয়ে বারবার নির্দেশ দিচ্ছেন।
রিজভী বলেন, ‘দেশে-বিদেশে অনেক চক্রান্তকারী সক্রিয় রয়েছে, যারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে চায়। হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করে জাতিগত সম্প্রীতির ঐতিহ্য নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। এসব চক্রান্ত প্রতিহত করতে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সব গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা হিন্দু সম্প্রদায়ের এই উৎসবগুলোতে সতর্কতার সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করুন। কেউ যাতে উসকানিমূলক কিছু করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।’
এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তর সংযুক্ত) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।