২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩রা রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সমন্বয়হীনতা অন্তর্বর্তী সরকারে

উপদেষ্টাদের কথাবার্তা ও কর্মকাণ্ডে অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতর সমন্বয়হীনতা স্পষ্ট। সরকারের ভেতরে-বাইরে প্রায় একই অবস্থা বিরাজ করছে। কোনো কোনো উপদেষ্টার বক্তব্যে এসব প্রকাশ পাচ্ছে। সম্প্রতি একটি ঘটনায় এক উপদেষ্টা এর নিন্দা জানিয়ে বিচার দাবি করেন। একজন বলেন, সরকারকে এর দায় নিতে হবে। সরকার এর দায় এড়াতে পারে না। আরেকজন বলেন, আমরা এর বিচার দাবি করছি।

এদিকে রাজনৈতিক দলের নেতারাও সরকারের সমালোচনায় সরব। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে জুলাই বিপ্লবের পর জন্ম নেওয়া রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। উপদেষ্টাদের পাশাপাশি সেনাবাহিনী সম্পর্কেও আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন তারা। এ অবস্থায় চীন থেকে ফিরে সোমবার রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাতের ঘটনা নানা গুঞ্জনের জন্ম দেয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে গুজব। সব মিলিয়ে জনমনে অস্থিরতা-অস্বস্তি বিরাজ করছে। দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে অনেকের প্রশ্ন-কী ঘটছে পর্দার অন্তরালে? অনেকেই জানতে চান শিগ্গিরই কি তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসছে। বর্তমান সরকার কি চলে যাচ্ছে, তাদের অধীনে নির্বাচন হবে কি না।
এছাড়া অনেকের প্রশ্ন-ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে কি। এমন নানা প্রশ্ন বিভিন্ন মাধ্যমসহ জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছেন না প্রকৃতপক্ষে কী হচ্ছে। এজন্য যে যার মতো করে কথা বলছেন, অবস্থার ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। যার সঙ্গে প্রকৃত ঘটনার বিস্তর ফারাক। এসব কারণে ডালপালা ছড়াচ্ছে গুজব। বিভ্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এতে জনমনে অস্থিরতা-অস্বস্তি ক্রমেই বাড়ছে। অধিকাংশের মনে প্রশ্ন-দেশে হচ্ছেটা কী।

অনেকে বলছেন, আমরা সরকারের কাছে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরের ওপর হামলার বিচার চাইব। সরকার বিচার করবে, এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করবে। কিন্তু সরকারের অংশ উপদেষ্টারা যদি বলেন এ ঘটনার নিন্দা জানাই, সরকারকে এর দায় নিতে হবে, তাহলে জনগণ কোথায় দাঁড়াবে। সরকার মানে শুধু প্রধান উপদেষ্টা নন, সব উপদেষ্টা মিলেই সরকার। যাদের বিচার

সর্বশেষ