বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান বলেছেন, শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য রাষ্ট্র ক্ষমতা অনিবার্য। রাষ্ট্র যদি শ্রমিকদের জন্য সহানুভূতিশীল হয় তাহলে শ্রমিকদের অধিকার আদায় করা সহজ হবে।
তিনি আজ সকাল ১০ টায় নগরীর পাহাড়তলী বৌ বাজারে ফেডারেশনের চট্টগ্রাম মহানগরের অন্তর্ভুক্ত অটোরিকশা, অটো টেম্পু ও সিএনজি সেক্টরের (মহানগর দক্ষিণ শাখা) কার্যালয় উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সেক্টর সভাপতি হারুন হাওলাদার এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেশনের মহানগর সহ-সভাপতি মকবুল আহমেদ ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদ উল্লাহ আদিল, সহ-প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহীম মানিক, জামায়াত নেতা ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মাহবুব আলম ও সিএনজি সেক্টর উত্তরের সভাপতি মোহাম্মদ বশির প্রমুখ।
এস এম লুৎফর রহমান বলেন, অতীতে খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের কাঁধে ভর করে এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিবর্তিত হয়েছে। একদল রাষ্ট্র ক্ষমতা থেকে নেমেছে অপর দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেছে। কিন্তু শ্রমিকদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। মূলত তারা শ্রমিকদের আন্দোলন সংগ্রামের সুফল গ্রহণ করেছে কিন্তু শ্রমিকদের জীবনের দুর্দশা দূরীকরণে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এমনিভাবে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ ৫৪ টা বছর কেটে গেছে। আজকে শ্রমিকদের পীঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। পেটে পাথর বাসা বেধেছে। দুর্মূল্যের এই বাজারে পরিবহন শ্রমিকরা যা আয় করে তা পথেই খরচ হয়ে যায়। তারা যে বাসায় পরিবার-পরিজন নিয়ে দুবেলা দুই মুঠো ভাত খেয়ে বেঁচে থাকবে এমন পরিস্থিতি নেই। দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি ও ক্রমবর্ধমান বাসা ভাড়া শ্রমিকদের নাভিশ্বাস তুলেছে। অপরদিকে পরিবহন শ্রমিকরা কোনদিন একটি মামলা খেলে তাদের কয়েকদিনের উপার্জন শেষ হয়ে যায়। এরকম একটি পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমাদেরকে সমাজের প্রতিটি অঙ্গকে পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি বলেন, এই সমাজে কেউ বেশি আয় করবে কেউবা কম আয় করবে। কিন্তু রাষ্ট্র এমন একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে যিনি কম আয় করবেন তাকেও সুন্দরভাবে জীবন পরিচালনা করার সুযোগ প্রদান করবে। এটি হলো কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের বেসিক ধারণা। ইসলাম সকল মানুষের জন্য সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। আমরা মনে করি আগামী দিনে যদি এদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ইসলামপন্থীরা আসে তাহলে ইনশাআল্লাহ এ দেশের সকল শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য তাই আজকে থেকে প্রতিটি পাড়া মহল্লার পাশাপাশি শ্রমিক অধ্যুষিত গ্যারেজ ও কলকারখানায় জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদের বিজয় করার জন্য তৎপরতা চালাতে হবে।