২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

শাহজালালে ১০০ কোটি টাকার কোকেনসহ মালাউইর নারী গ্রেফতার

ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাতার এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে করে ৮ কেজি ৩০০ গ্রাম কোকেন এনেছিলেন পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাউয়ির নারী নমথান্দাজো টাওয়েরা সোকো (৩৫)। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দরে তাঁর গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর লাগেজে তল্লাশি চালিয়ে ওই মাদক জব্দ করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, নমথান্দাজো টাওয়েরা সোকো মালাউয়ির নাগরিক এবং সেখানের একটি হাসপাতালে সেবিকা হিসেবে চাকরি করেন। তিনি বাংলাদেশি কারও কাছে ওই কোকেন পৌঁছে দিতে মালাউ থেকে এসেছিলেন। কোকেন চোরাচালানে আন্তর্জাতিক চক্র বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করতে সোকোর মাধ্যমে এই চালান এনেছিল। গতকাল ধরা পড়া কঠিন আকারের কোকেনের সবচেয়ে বড় চালান এটি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মহানগর উত্তর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সময় অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস) পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) তানভীর মমতাজ বলেন, তাঁরা জানতে পারেন, গতকাল কাতার এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজে একজন আফ্রিকান নাগরিক কোকেনের একটি বড় চালান নিয়ে ঢাকার বিমানবন্দরে আসতে পারেন।

তানভীর মমতাজ বলেন, ওই তথ্যের ভিত্তিতে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মজিবুর রহমান পাটওয়ারীর নেতৃত্বে একটি দল বিমানবন্দরের ৮ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কাতার এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় যাত্রী সোকো বিমানবন্দরের নিচতলায় ভিসা অন অ্যারাইভেল ডেস্কে দীর্ঘ সময় অবস্থান করেন।

সোকোর গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও এপিবিএনের কর্মকর্তারা। তাঁর লাগেজে বিশেষভাবে কোকেনগুলো লুকানো ছিল। এতে সেগুলো স্ক্যানিংয়ে ধরা পড়ছিল না। পরে লাগেজের ওজন দেখে সন্দেহ হয় মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের। সোকোও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, এর ভেতরে কোকেন আছে।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তানভীর মমতাজ বলেন, সোকোর লাগেজ খুলে ৮ কেজি ৩০০ গ্রাম কোকেন উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ সোকো বলেন, তিনি বাংলাদেশে সুই ও কাপড়ের ব্যবসা করেন।

সর্বশেষ