মুমিনদের জীবন পরিচালনা কেমন হওয়া উচিত তা আল্লাহ ﷻ কুরআনুল কারীম এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাদীসে সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। একজন প্রকৃত মুমিনের জীবন চলার মূল ভিত্তি হলো আকীদা (বিশ্বাস), ইবাদত (উপাসনা), আখলাক (চরিত্র) ও মু’আমলাত (লেনদেন/আচরণ)। সংক্ষেপে কয়েকটি দিক তুলে ধরা হলোঃ
১. আকীদা ও ঈমানের দৃঢ়তা
আল্লাহকে একমাত্র রব, ইলাহ ও মাবুদ হিসেবে বিশ্বাস করা।
কুরআন ও সুন্নাহর প্রতি পূর্ণ আনুগত্য রাখা।
তাকদীরের প্রতি আস্থা রাখা।
২. ইবাদতের প্রতি যত্নশীলতা
ফরয সালাত সময়মতো আদায় করা।
রমজানের রোজা রাখা, যাকাত প্রদান, সামর্থ্য হলে হজ পালন করা।
দোআ ও যিকিরে মুখর থাকা।
৩. আখলাক ও চরিত্র গঠন
সত্যবাদী হওয়া।
বিনয়ী ও নম্র থাকা।
ধৈর্যশীল ও কৃতজ্ঞ হওয়া।
গীবত, মিথ্যা, অহংকার ও হিংসা থেকে বেঁচে থাকা।
৪. মানুষের সাথে সুন্দর ব্যবহার
পিতা-মাতা ও পরিবারকে সম্মান করা।
প্রতিবেশীর হক আদায় করা।
দরিদ্র, এতিম ও অসহায়দের সাহায্য করা।
প্রতারণা, সুদ, অন্যায় লেনদেন থেকে বিরত থাকা।
৫. সামাজিক ও দায়িত্বপূর্ণ জীবনযাপন
নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করা (পরিবার, সমাজ, কাজের জায়গায়)।
দেশ ও সমাজের কল্যাণে অবদান রাখা।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসের সাথে দাঁড়ানো।
৬. আখেরাতের প্রস্তুতি
দুনিয়াকে মূল লক্ষ্য না বানিয়ে আখেরাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
প্রতিটি কাজের হিসাব আল্লাহর কাছে দিতে হবে—এমন সচেতনতা রাখা।
📖 আল্লাহ বলেন:
“নিশ্চয়ই সফলকাম হলো মুমিনগণ, যারা নিজেদের সালাতে বিনয়াবনত থাকে, যারা অনর্থক কাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, যারা যাকাত প্রদান করে, যারা নিজেদের লজ্জাস্থান হেফাজত করে…”
(সূরা মুমিনুন: ১-৫)
👉 অর্থাৎ মুমিনদের জীবন হবে ইবাদতমুখী, আখলাকপূর্ণ, দায়িত্বশীল ও আল্লাহর ভয়ে পরিপূর্ণ।